বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের এক বিপদ সংকুল জনপদ বাগেরহাট। সেখানের মানুষ প্রায় প্রতি বছরই সম্মুখীন হয় প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড় আর জলোচ্ছাসে। ভেসে যায় তাদের সহায়সম্বল আর স্বপ্ন। তারপরও মানুষ ঘুরে দাড়াতে চেষ্টা করে। আর এই চেষ্টায় হাত বাড়িয়ে দেয় কিছু সুহৃদয় বন্ধু। তেমনি এক অকৃত্রিম হৃদয় “সামছউদ্দীন-নাহার ট্রাস্ট”। প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে আজ অবধি নিরন্তন মানুষের পাশে আছে এই প্রতিষ্ঠান। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সামছউদ্দীন আহম্মদের স্মরণে তার স্ত্রী বেগম রেশাতুন নাহার ২০০২ সালে ট্রাস্টটি প্রতিষ্ঠা করেন। সমন্বিত শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কারিগরি শিক্ষা-এই তিন বিভাগে দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষকে সেবা দিয়ে আসছে এই ট্রাস্ট। সেবার মান যুগোপযোগী রাখতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের পরিবর্ধন-পরিমার্জন করা হচ্ছে। আর এর সবকিছুই সম্ভব হচ্ছে ট্রাস্ট সংলগ্ন জনগোষ্ঠীর সমর্থন, সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে। কোভিড এর মরণ থাবায় যখন সমগ্র বিশ্ব ভারসাম্যহীন, আর তখনই বিশ্বের শক্তির লড়াইয়ে উন্মুক্ত এক দল মানুষ। তারই ফলশ্রুতিতে বিশ্বব্যপি চলছে অর্থনৈতিক মন্দা। এই মন্দার সবচেয়ে বিরুপ রুপ দেখছে অনুন্নত আর উন্নয়নশীল দেশগুলি। বাংলাদেশও এর আওতামুক্ত নয়। এত রকমের প্রতিকুলতার মাঝেও “সামছউদ্দীন-নাহার ট্রাস্ট” তার অভিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে চলছে। আর ছায়াবৃক্ষের মত একে আগলে রেখেছেন পরিচালনা পর্যদ ও ট্রাস্টিবৃন্দ। গ্রামের দরিদ্র, অনগ্রসর ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তিগত বিদ্যার মাধ্যমে তাদেরকে দেশের ও আধুনিক পৃথিবীর উপযুক্ত করে গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ। সামছউদ্দীন-নাহার ট্রাস্টের মূল কার্যক্রম মূলত বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়ন এবং এর আশে পাশের কিছু এলাকা, রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার পদ্মার চর এলাকায় হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিস্তৃত। পিছিয়ে থাকা এই জনগোষ্ঠীকে এ সংস্থা স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করে আসছে। ট্রাস্টের এই কার্যক্রমকে আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়।